লাথি দিয়ে বের করে দেব- স্মামী রবিউল হাসান রুবেলকে আটকের পর তার ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কনক আক্তার ছুটে যান পল্লবী থানায়। পরিচয় দিয়ে কক্ষে ঢুকতে চাইলে পল্লবী থানার ওসি দাদন ফকির তাকে বলেন, ‘কোনো কথা শুনতে চাই না। কক্ষ থেকে বের হ, নইলে লাথি দিয়ে বের করে দেব।’
কনক বলেন, ওসি আমাকে গালাগালও করেন। পরে রুবেলকে থানায় ২ দিন আটকে রেখে সাজানো মামলা দিয়ে রোববার আদালতে পাঠানো হয়। অনুসন্ধানেও বেরিয়ে আসে, রুবেলকে হেরোইন মামলা দিয়ে ফাঁসিয়েছে পুলিশ।
তার কাছে কোনো মাদক পাওয়া যায়নি। এসআই আনোয়ারুল ইসলাম শুক্রবার রাত পৌনে ৮টার দিকে পল্লবীর বাউনিয়া বাঁধ এলাকার একটি চায়ের দোকান থেকে তাকে আটক করেন।
শুক্রবার রাতে রুবেলকে আটকের বিষয়টি এসআই আনোয়ারুল ইসলাম যুগান্তরের কাছে স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমি শুধু গাড়িতে করে নিয়ে এসেছি। আমি আর কিছু জানি না। তার কাছে মাদক পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি শুধু নিয়ে এসেছি।
রুবেলের ঘনিষ্ঠ একজন শুক্রবার রাতেই এসআই আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন। ওই কথোপকথনে তিনি (এসআই) বলেছেন, রুবেলকে তিনি বাউনিয়া বাঁধ এলাকা থেকে আটক করে থানার হাজতখানায় রেখে এসেছেন। ওসি দাদন ফকিরের নির্দেশে তাকে আটক করা হয়েছে। তার কাছে মাদক পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।